পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০০৯

হার্ডডিস্ক ডাটা রিকভারি পর্ব- ০৩



ফিজিক্যাল রিকভারিঃ
সব কাজের একটা শেষ চেষ্টা থাকে। ফিজিক্যাল রিকভারি ও ডাটা রিকভারির ক্ষেত্রে শেষ চেষ্টা। এই পদ্ধতিতে অনেক সময় হার্ডডিস্ক ঠিক না হলে ও ডাটা রিকভার করা সম্ভব হয়। ফিজিক্যাল রিকভারি বেশ কয়েক পদ্ধতিতে করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটা পদ্ধতি আপনাদের কাছে হাস্যকর ও মনে হতে পারে। আমি পর্যায়ক্রমে পদ্ধতিগুলো নিয়ে আলোচনা করছি।

ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করাঃ
অনেক সময় হার্ডডিস্ক ৪/৫ মিনিট চলার পর হ্যাং হয়ে যায়। এর পর পিসি রিবুট করলেও কাজ হয়না কোন ভাবেই হার্ডডিস্ক আর ডিটেক্ট করেনা। হার্ডডিস্কে হাত দিলে দেখবেন প্রচন্ড গরম। এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে হার্ডডিস্কটা খুলে পানি নিরোধক পলিথিনে মুড়িয়ে ডিপ ফ্রিজে ৩/৪ ঘন্টার জন্য রেখে দিন। ডিপ ফ্রিজে রাখার সময়টা বাড়িয়ে কমিয়ে এক্সপিরিমেন্ট করতে পারেন। এর পর ফ্রিজ থেকে বের করার সাথে সাথেই পিসিতে লাগিয়ে যত তারাতারি সম্ভব অন্য হার্ডডিস্কে ডাটাগুলো ব্যাকআপ করে নিন।



নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে ফেলে দেওয়াঃ
অনেক সময় হার্ডডিস্কের স্পিনিং মটরগুলো ঠিক মত কাজ করে না এবং হার্ডডিস্কের ভিতর থেকে খ্যাট.. খ্যাট.. আওয়াজ করে। বিশেষ করে পুরনো হার্ডডিস্কের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয়। এই পদ্ধতির ব্যাপারে আগে একটা কথা বলে নিই, এটাকে আপনারা শেষ পদ্ধতি হিসেবে নেবেন অর্থাত এটা করতে গিয়ে হার্ডডিস্কটা পুরোপুরি ডেড হয়ে গেলে ও যেন কোন সমস্যা না হয়। হার্ডডিস্কটা হাতে নিয়ে ৭/৮ ইঞ্চি উপর থেকে পুরু কার্পেটের উপর ছেড়ে দিন। বিভিন্ন সাইড থেকে একবার করে ফেলুন। এবার হার্ডডিস্কটা পিসিতে লাগিয়ে দেখুন আপনি লাকি না আনলাকি!!! :)

ঝাঁকি দেওয়াঃ
হাতে নিয়ে মিনিট খানেক ভালভাবে ঝাঁকি দিয়ে তারপর পিসিতে লাগিয়ে দেখুন কাজ হয় কিনা।

 উৎস এবং সত্ত্বাধিকারী : জুয়েল

হার্ডডিস্ক ডাটা রিকভারি পর্ব- ০২


ইলেকট্রনিক রিকভারিঃ
আগেরদিন কম্পিউটার ঠিক মতই বন্ধ করে গেছেন। সকালে পাওয়ার বাটন প্রেস করার পর দেখছেন হার্ডডিস্ক নট ফাউন্ড মেসেজ। অথবা কাজ করার সময় হটাত করে বিদ্যুত চলে গেল ইউপিএস না থাকায় পিসি বন্ধ হয়ে গেল বিদ্যুত আসার পর কোন ভাবেই হার্ডডিস্ক ডিটেক্ট করছেনা। প্রাথমিকভাবে যা যা দেখার দেখে নিশ্চিত হলেন হার্ডডিস্কটি নষ্ট। এধরনের সমস্যা হয় সাধারনত হার্ডডিস্কের সার্কিটবোর্ড নষ্ট হলে। এক্ষেত্রে আপনাকে ইলেকট্রনিক রিকভারি চালাতে হবে অর্থাত সার্কিটবোর্ডটি রিপেয়ার অথবা রিপ্লেস করতে হবে।

ইলেকট্রনিক রিকভারির জন্য আপনার প্রয়োজন হবে বিভিন্ন ধরনের স্ক্রু ড্রাইভার এবং এলকী সেট, থিনার, পেইন্ট ব্রাশ, সোলডারিং গান, বিভিন্ন ধরনের নষ্ট/পুরনো হার্ডডিস্ক ইত্যাদি। প্রাথমিকভাবে সার্কিটবোর্ডটি খুলে থিনারে পেইন্ট ব্রাশ ভিজিয়ে সার্কিটবোর্ডের উপর হালকা করে ঘষুন। কারন অনেক সময় সার্কিটবোর্ডের উপর ধুলোবালি পরে শর্টসার্কিট হয়ে যায়। ভালভাবে শুকানোর পর লাগিয়ে হার্ডডিস্কটি চেক করুন ঠিক আছে কিনা। না হলে আবার খুলে সোলডারিং গান দিয়ে হালকা হিট দিন কারন অনেক সময় সার্কিটবোর্ডের কম্পোনেন্টগুলো থেকে সোলডারিং লুজ হয়ে যায়। এর পরেও নাহলে সার্কিটটি পরিবর্তন করতে হবে। সার্কিটবোর্ড পরিবর্তনের জন্য একই মডেলের আরেকটি হার্ডডিস্ক থেকে সার্কিটবোর্ড খুলে নিয়ে লাগান। খুব সতর্কতার সাথে লাগাবেন কোন প্রকার চাপ দিয়ে লাগানোর চেষ্টা করবেননা। স্ক্রু ড্রাইভার সাবধানে ব্যবহার করবেন যেন শ্লিপ করে সার্কিটের অন্য জায়গায় গুতো না লাগে।

উৎস এবং সত্ত্বাধিকারী : জুয়েল

হার্ডডিস্ক ডাটা রিকভারি পর্ব- ০১


ভাইরাসের আক্রমন, ঘন ঘন বিদ্যুতের আসা যাওয়া, ভুল বশতঃ ফাইল মুছে ফেলা সহ বিভিন্ন কারনে ডাটা রিকভারির প্রয়োজন হয়। ডাটা রিকভারি সাধারনত তিন প্রকারের হয়ে থাকে।
১. লজিক্যাল
২. ইলেক্ট্রনিক
৩. ফিজিক্যাল


 লজিক্যাল রিকভারিঃ
FAT, NTFS সহ অন্যান্য ফাইল সিস্টেমের ফাইল স্ট্রাকচার অনেক সময় করাপ্ট হয়ে যায়। এটা সাধারনত হয়ে থাকে ভাইরাসের আক্রমন এবং বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারনে। এছাড়া ও একটা ফাইল মুছতে গিয়ে আমরা অনেক সময় অন্য ফাইল মুছে ফেলি। এক কথায় হার্ডডিস্ক ভাল আছে শুধু ডাটা নস্ট হয়ে গেছে এক্ষেত্রে লজিক্যাল রিকভারির প্রয়োজন হয়। লজিক্যাল রিকভারির জন্য আপনারা Recover My Files এবং GetDataBack for FAT/NTFS ব্যবহার করতে পারেন। ভুলক্রমে ফাইল মুছে গেলে Recover My Files ব্যবহার করুন। Recover My Files দিয়ে ফাইলের টাইপ অনুযায়ী স্ক্যান করা যায়। যেমনঃ- ডকুমেন্ট ফাইল *.doc, *.xls, *.pdf ইমেজ ফাইল *.jpg, *.bmp, *.gif মিডিয়া ফাইল *.mpg, *.avi, *.mp3 ইত্যাদি।

আর ফাইল সিস্টেম করাপ্ট হয়ে গেলে বা পার্টিশন মুছে নতুন করে ফরম্যাট করে সবকিছু ইনস্টল করার পর আপনার মনে পড়ল কিছু গুরুত্বপুর্ন ডাটা মুছে ফেলেছেন এক্ষেত্রে GetDataBack for FAT/NTFS ব্যবহার করতে পারেন। অন্ততঃ ৬০% ডাটা ফেরত পাবেন এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন। আসলে কি পরিমান ডাটা উদ্ধার করতে পারবেন সেটা নির্ভর করবে পার্টিশন ডিলিট, ফরম্যাট, নতুন করে ব্যবহার শুরু করা ইত্যাদি বিষয়ের উপর। যত কম কাজ করবেন তত বেশী ডাটা পাওয়ার সম্ভাবনা।

Recover My Files সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন এখানে

GetDataBack for FAT/NTFS সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন এখানে


উৎস এবং সত্ত্বাধিকারী : জুয়েল

রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০০৯

Windows XP বুট দ্রুততর

Windows XP বুট করতে অনেক সময় নেয়। আপনি ইচ্ছে করলেই Windows XP বুট দ্রুততর করতে পারেন।
তিনটি ধাপে এ কাজটি করুন।

প্রথম পদক্ষেপ:
১. Notepad –ওপেন করে টাইপ করুন  del c:\windows\prefetch\ntosboot-*.* /q
২. C ড্রাইভে ntosboot.bat নামে সেভ করুন।

দ্বিতীয় পদক্ষেপ:
১. Start মেনু থেকে Run ক্লিক করুন এবং টাইপ করুন gpedit.msc
২. এর পর Computer Configuration -> Windows Settings -> Scripts (Startup/shutdown) এ ক্লিক করে ডানপাশে Shutdown এ ডাবল ক্লিক করুন।
৩. নতুন Window তে add ক্লিক করুন তারপর Browse এ ক্লিক করে ntosboot.bat নামে যে ফাইলটি C ড্রাইভে সেভ করেছিলেন তা সিলেক্ট করে Open এ ক্লিক করুন।
৪. এবার যথাক্রমে OK , Apply এবং OK করুন এবং Group Policy বন্ধ করুন।

তৃতীয় পদক্ষেপ:
১. Device manager –এর “IDE ATA/ATAPI controllers”-এ Double ক্লিক করুন
২. Primary IDE Channel-এ রাইট ক্লিক করে Properties-এ ক্লিক করুন
৩. Advanced Settings ট্যাবের অধীন Device Type0-এ “Autodetect “-এর স্থলে “None” select করে OK করুন
৪. Secondary IDE Channel-এর ক্ষেত্রে Device Type1-এ “Autodetect “-এর স্থলে “None” select করে OK করুন
৫. Device manager টি Close করুন
৬. কম্পিউটার Restart করুন এবং দেখুন Booting যাদু

মুভি, গেমস্, সফ্টওয়্যার :: সার্চ করুন আর ডাউনলোড করুন

আমরা অনেকেই কোন কিছু ডাউনলোড করতে হলে Google এ সার্চ দিয়ে থাকি । কিন্তু অনেক সময় বিরক্ত লেগে যায় তবুও আমরা যা খুজছি তা পাই না । কিন্তু অন্য পন্থা ব্যবহার করলে আপনি এই কাজটি খুব সহজেই করতে পারবেন । Repidshare , megaupload ও 4shared থেকে খুব সহজেই বের করতে পারবেন আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়ার , মুভি , গেমস , থিমস ইত্যাদি ।

১ . Repidshare এর একটি সার্চ ইন্জিনঃ
রেপিডশেয়ার এর একটি অন্যতম সার্চ ইন্জিন হল http://rapidlibrary.com/ এই খানে এববার সার্চ করেই দেখুন ।


আপনি আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসটি পেয়ে যাবেন । কিন্তু এর সীমাব্ধতা তো আছেই তা হল আইপি নিয়ে সমস্যায় পরতে পারেন ।

২ . megaupload এর অন্যতম একটি সার্চ ইন্জিনঃ
এই সার্চ ইন্জিন এর মাধ্যমে আপনি megaupload এ লুকায়িত সকল প্রকার সফটওয়ার , মুভি , গেমস , থিমস ইত্যাদি ডাউনলোড করতে পারবেন ।


এখানে সার্চ কের দেখুন http://4megaupload.com/ । আশা করি ব্যবহারের পরই বুঝবেন ।

৩. 4shared র অন্যতম একটি সার্চ ইন্জিনঃ
4shared এর অন্যতম ভাল বৈশিষ্ট্য হল এই ওয়েবসাইট থেকে যত খুশি ডাউনলোড করে যায় এবং আইপি এর ঝামেলা নাই । সুতরাং এটাই তো অন্যতম তাই না ।
তো http://www.search.4shared.com/ ।


আশা করি সবাই উপকৃত হবেন ।

উৎস : Lotus

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০০৯

দুই ক্লিকেই Lock করুন আপনার কম্পিউটার

জরুরী প্রয়োজনে আপনি খুব দ্রুত কোথাও যাবেন, কিন্তু আপনি চান না অন্য কেউ আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করুক। কিন্তু আপনি Computer Logoff ও করতে চান  না। তাহলে কি করবেন? অতি সহজে আপনি আপনার কম্পিউটার টি লগঅফ না করে ও লক করে দিতে পারেন। শুধু একটি Shortcut Key তৈরী করার মাধ্যমে। যা করতে হবে তা হলোঃ প্রথমে Desktop এ Mouse এর Right Button ক্লিক করুন, তারপর New ক্লিক , Shortcut Click, তারপর  Create  shortcut Dialog box এ (Type the Location of the item এর ঘরে ) লিখুন rundll32.exe user32.dll, Lock WorkStation তারপর Next ক্লিক, তারপর Enter a name for the shortcut এর ঘরে লিখুন Lock তারপর Finish click করুন। দেখুন Desktop এ Lock নামে একটি Shortcut তৈরী হয়েছে। এতে আপনি Double ক্লিক করলেই আপনার কম্পিউটার Lock হয়ে যাবে। অবশ্যই এ জন্য আপনার কম্পিউটার এ User Account  এ Password set করা থাকতে হবে।
উৎস :  shohag   

ডেস্কটপ আইকন থেকে shortcut arrow রিমুভ করা

ডেস্কটপ আইকন থেকে shortcut arrow রিমুভ করার ধাপ গুলো নিচে দেওয়া হলো।
1. Start regedit.
2. Navigate to HKEY_CLASSES_ROOT\lnkfile
3. Delete the IsShortcut registry value.
4. Navigate to HKEY_CLASSES_ROOT\piffile
5. Delete the IsShortcut registry value.
6. Navigate to HKEY_CLASSES_ROOT\ConferenceLink
7. Delete the IsShortcut registry value.
8. Navigate to HKEY_CLASSES_ROOT\DocShortCut
9. Delete the IsShortcut registry value.
10.Navigate to HKEY_CLASSES_ROOT\InternetShortcut
11. Delete the IsShortcut registry value.
12. Navigate to HKEY_CLASSES_ROOT\WSHFile
13. Delete the IsShortcut registry value.
14. Close regedit.

Logoff and… Enjoy!
উৎস :  কালো মন

সফ্টওয়্যার ও ইলেকট্রনিক্ম বিষয়ক ই-বুক সাইট।

আমরা প্রায়ই সফ্টওয়্যার ও ইলেকট্রনিক্স বিষয়ক বই ইন্টারনেটে খুঁজে থাকি। সফ্টওয়্যার ও ইলেকট্রনিক্স বিষয়ক বইয়ের জন্য এই কয়েকটা লিংক দিলাম। দেখুন হইত আপনাদের কাজে আসতে পারে।




তাই নিচের লিংক গুলোতে পাবেন সেই উৎস সমূহঃ

১। উইন্ডোজ ভিত্তিক বিনা মূল্যে সফ্টওয়্যার
২। লিনাক্স ভিত্তিক উন্মুক্ত সফ্টওয়্যার
৩। ইলেক্ট্রনিক্স বই নামানোর জন্য : এখানে "সার্চ" বক্সে আপনার কাঙ্খিত বই বা টাইটেল নাম লিখে "সার্চ" বোতাম চাপলে, অনেক তালিকা পর্দায় আসবে(ছবি দেখুন)। আপনি আপনারটা খুঁজে নিতে পারেন।

বই পিডিএফ হিসেবে নামাতে হলে নিবন্ধন লাগবে।
আশা করি উপকারে আসবে।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০০৯

এক ক্লিকে কম্পিউটার বন্ধ, রিস্টার্ট করুন

এক ক্লিকে কম্পিউটার বন্ধ করার জন্য প্রথমে ডেস্কটপের খালি জায়গায় মাউস রেখে রাইট ক্লিক করে shortcut select করতে হবে Type the location of the item এ নিচের কোডটি লিখতে হবে

shutdown -s -t 03 -c “See you later!” তারপর নেক্সট এ ক্লিক করে Type a name for this shortcut এর জায়গায় shutdown.exe লিখে Finish বাটনে ক্লিক করুন।

কম্পিউটার এক ক্লিকে রিস্টার্ট করতে চাইলে নিচের পদ্ধতি অনুসরন করুন :
shutdown -r -t 03 -c “See you later!” তারপর নেক্সট এ ক্লিক করে Type a name for this shortcut এর জায়গায় shutdown.exe লিখে Finish বাটনে ক্লিক করুন।
NOKIA ফোন কিনে অনেকেই চরম ধরা খান। আসল নকল চিনতে না পারার কারনে তার টাকাটা জলে যায়। তাছা অনেকগুলো কাজের ফিচার আছে যা কিনা অনেকেই জানেন না।  এই কোড গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি কাজে আসবে।

  • * *3370# This Nokia code activates Enhanced Full Rate Codec (EFR) – Your Nokia cell phone uses the best sound quality but talk time is reduced my approx. 5%
  • * #3370# Deactivate Enhanced Full Rate Codec (EFR) .
  • * *#4720# Activate Half Rate Codec – Your phone uses a lower quality sound but you should gain approx 30% more Talk Time.
  • * *#4720# With this Nokia code you can deactivate the Half Rate Codec.
  • * *#0000# Displays your phones software version, 1st Line : Software Version, 2nd Line : Software Release Date, 3rd Line : Compression Type .
  • * *#9999# Phones software version if *#0000# does not work.
  • * *#06# For checking the International Mobile Equipment Identity (IMEI Number) .
  • * #pw+1234567890+1# Provider Lock Status. (use the “*” button to obtain the “p,w” and “+” symbols).
  • * #pw+1234567890+2# Network Lock Status. (use the “*” button to obtain the “p,w” and “+” symbols) .
  • * #pw+1234567890+3# Country Lock Status. (use the “*” button to obtain the “p,w” and “+” symbols).
  • * #pw+1234567890+4# SIM Card Lock Status. (use the “*” button to obtain the “p,w” and “+” symbols) .
  • * *#147# This lets you know who called you last (Only vodofone).
  • * *#1471# Last call (Only vodofone) .
  • * *#21# This phone code allows you to check the number that “All Calls” are diverted to.
  • * *#2640# Displays phone security code in use .
  • * *#30# Lets you see the private number.
  • * *#43# Allows you to check the “Call Waiting” status of your cell phone.
  • * *#61# Allows you to check the number that “On No Reply” calls are diverted to .
  • * *#62# Allows you to check the number that “Divert If Unreachable (no service)” calls are diverted to .
  • * *#67# Allows you to check the number that “On Busy Calls” are diverted to
  • * *#67705646# Phone code that removes operator logo on 3310 & 3330
  • * *#73# Reset phone timers and game scores.
  • * *#746025625# Displays the SIM Clock status, if your phone supports this power saving feature “SIM Clock Stop Allowed”, it means you will get the best standby time possible .
  • * *#7760# Manufactures code.
  • * *#7780# Restore factory settings.
  • * *#8110# Software version for the nokia 8110.
  • * *#92702689# Displays – 1.Serial Number, 2.Date Made, 3.Purchase Date, 4.Date of last repair (0000 for no repairs), 5.Transfer User Data. To exit this mode you need to switch your phone off then on again.
  • * *#94870345123456789# Deactivate the PWM-Mem.
  • * **21*number# Turn on “All Calls” diverting to the phone number entered.
  • * **61*number# Turn on “No Reply” diverting to the phone number entered .
  • * **67*number# Turn on “On Busy” diverting to the phone number entered .
  • * 12345 This is the default security code .
  • * press and hold # Lets you switch between lines.
ডিসক্লেইমারঃ এই পোস্টের তথ্য ইন্টারনেট(বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ করা) থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে শূধু মাত্র সম্মানিত ব্লগারদের কথা ভেবে।

অতি দ্রুত অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করুন

ভাইরাস বা অন্য কোন কারনে আমাদের প্রায়ই অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করতে হয় যা সময় সাপেক্ষ এবং ঝামেলার। এই ক্ষেত্রে Norton Ghost এর মাধ্যমে দ্রুত (চার থেকে পাঁচ মিনিট) অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা যায়।


Norton Ghost একটি image file তৈরি এবং image file restore করার software প্রথমে http://www.symantec.com/norton/ghost থেকে ডাউনলোড করে নিন (টরেন্ট দিয়ে ডাইনলোড করলে কোন টাকা লাগবে না)।তারপর বুটেবল সিডি করে নিন। প্রথমেই কম্পিউটারে ফ্রেশ উইন্ডোজ ইন্সষ্টল করে সকল ডিভাইস ড্রাইভার ও অন্যান্য প্রয়োজন সফটওয়্যার ইন্সষ্টল করে নিতে হবে। এরপর Norton ghost এর মাধ্যমে উইন্ডোজটির একটি Image file তৈরী করে তা hard disk or DVD তে সংরক্ষণ করে রাখুন।ভাইরাস বা অন্য কোন কারনে অপারেটিং সিস্টেম ক্রাশ করলে Norton Ghost এর মাধ্যমে image file কে পুনরায় restore করা যায়। ফলে নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করার প্রয়োজন নাই এমনকি কোন software or driver install করার প্রয়োজন নাই।


Norton Ghost সাহায্যে Image তৈরী করার জন্য নিচের ধাপগুলো সম্পন্ন করুনঃ

  • প্রথমে Norton Ghost এর সিডি থেকে কম্পিউটার কে রান করান।
  •  বুট হওয়ার পর Norton Ghost সফটওয়্যারটি অটোরান করবে।
  • Welcome স্ক্রীনে OK তে ক্লিক করুন।
  • এরপর মেনুবার থেকে Local→Partition→To Image সিলেক্ট করুন।
  • কম্পিউটারে যদি একাধিক Hard disk থাকে তবে যে Hard diskটির ইমেজ তৈরী করতে চান সেটি Select Local Source drive by clicking on the drive number উইন্ডো থেকে সেই Hard disk টি Select করে OK চাপুন।
  • Select Source Partition from Basic Drive উইন্ডো থেকে Primary Partition অথাৎ যে Partition এ Windows ইন্সষ্টল করা আছে সেটি Select করে OK চাপুন।
  • File name to Copy Image to উইন্ডো থেকে যে ড্রাইভে ইমেজ ফাইলটি Save করতে চান সেই ড্রাইভটি Select করুন এবং File name box এ ইমেজ ফাইলটির একটি নাম দিয়ে OK চাপুন।
  • ইমেজ ফাইলটি যদি কম্প্রেস করতে না চান তবে No চাপুন, যদি দ্রুত কম্প্রেস করতে চান তবে Fast চাপুন, খুব বেশী কম্প্রেস করতে চাইলে High চাপুন।
  • Process with partition Image creation উইন্ডোতে Yes এ Click করুন। আপনার কম্পিউটারের উইন্ডোজের ইমেজ তৈরী শুরু হয়ে যাবে।
  • Image তৈরী শেষ হলে সফটওয়্যার থেকে বেরিয়ে যান এবং কম্পিউটারটি Restart করুন।


Norton Ghost 2003 সাহায্যে Windows Restore করার জন্য নিচের ধাপগুলো সম্পন্ন করুনঃ
  •  Norton Ghost সিডি থেকে কম্পিউটারটি বুট করান।
  • বুট হওয়ার পর Norton Ghost সফটওয়্যারটি অটোরান করবে।
  • Welcome স্ক্রীনে OK তে ক্লিক করুন।
  • এরপর যে মেনুবার আসবে সেখান থেকে Local→Partition→From Image সিলেক্ট করুন।
  •  Image file name to restore from উইন্ডো থেকে যেখানে আগের তৈরী করা Image ফাইলটি Save আছে সেটি Look in বক্স থেকে Select করে Open এ ক্লিক করুন।
  • Select source partition from Image file উইন্ডো থেকে Primary Select করে OK চাপুন।
  • আপনার কম্পিউটারে যদি একাধিক Hard disk থাকে তবে যে Hard disk টিতে Restore করতে চান সেটি Select local destination drive by clicking on the drive number উইন্ডো থেকে সেই Hard disk টি Select করে OK চাপুন।
  • Select destination Partition from Basic drive উইন্ডো থেকে Primary Select করে OK চাপুন।
  • Process with Partition Restore উইন্ডোতে Yes এ Click করুন।
  • Image Restore হয়ে গেলে সফটওয়্যার থেকে বেরিয়ে যান এবং কম্পিউটারটি Restart করুন।

উৎস : gondaxp

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০০৯

অভ্র কীবোর্ড

সফটওয়্যার রিভিউঃ অভ্র কীবোর্ড


যারা ইউনিকোডে তৈরি বিভিন্ন বাংলা সাইট যেমন টেকটিউনস, সামহোয়্যার ইন ব্লগ, রংমহল ইত্যাদি সাইটে শুধু পড়েনইনা, বরং লেখালেখিও করেন, তাদের মধ্যে সিংহভাগই অভ্র কীবোর্ড সম্বন্ধে কমবেশি জানেন। তবুও এই টিউন অভ্র কীবোর্ড সম্বন্ধে আরো জানতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

অভ্র কীবোর্ড আর বিজয় কীবোর্ডের মধ্যে মূল পার্থক্য হল একটি বিনামূল্যের সফটওয়্যার তথা ফ্রিওয়্যার আরেকটি বৈধভাবে ব্যবহার করতে হলে আনন্দ কম্পিউটার্স থেকে ক্রয় করতে হয়। দ্বিতীয়তঃ অভ্র কীবোর্ড ইউনিকোড সাপোর্ট করে যা সর্বশেষ বিজয় কীবোর্ড সংস্করণ ছাড়া আগের সংস্করণগুলো সাপোর্ট করে না। এছাড়াও অভ্র কীবোর্ড দিয়ে যেকোন প্রোগ্রামের ভিতর অনায়াসেই বাংলা লেখা যায়। আর যারা বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অভ্যস্ত, তাদের জন্যও আছে অভ্র পোর্টেবল এডিশন।

অভ্র পোর্টেবল এডিশন কী?

অভ্র পোর্টবল এডিশন হচ্ছে মূল সফটওয়্যারের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ যা আপনার পিসিতে দ্রুততর গতিতে ডাউনলোড হবে এবং ইন্সটল করতে Administrative Right এর প্রয়োজন হবে না। যেহেতু সাইবার ক্যাফের প্রতিটি পিসি’ই ইউজারে লগ ইন করা থাকে এবং এখানে আপনি কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করতে পারবেন না, সেহেতু অভ্র কীবোর্ড হচ্ছে আপনার সমস্যার একমাত্র সমাধান। অভ্র কীবোর্ড পোর্টেবল এডিশন মূলত একটি আর্কাইভ যা দুই মিনিটেরও কম সময়ে ইন্সটল বা এক্সট্র্যাক্ট হয়ে যাবে এবং এটি ইন্সটল করতেও আপনাকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরে লগ-ইন করতে হবে না বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের অনুমতি লাগবে না। প্রায় ৯ মেগাবাইটের এই ফাইলটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। আপনাকে অমিক্রনল্যাবের সাইটে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে থেকে ডাউনলোডের লিঙ্কে ক্লিক করুন।

অভ্র কীবোর্ডের বৈশিষ্ট্য

অভ্র কীবোর্ড এর মাধ্যমে আপনি অভ্র ফোনেটিক, অভ্র ইজি, বর্ণমালা, ন্যাশনাল (জয়িতা) ও ইউনিবিজয়ের লে-আউটে লিখতে পারবেন। লক্ষ্যণীয়, ইউনিবিজয় আর বিজয়ের মধ্যে সামান্য কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। যারা বিজয়ের লে-আউটে টাইপ করতে পারেন এবং নতুন করে টাইপীং শিখতে চাননা, তারা এই ইউনিবিজয় ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও অভ্র কীবোর্ডে বাংলা মোড অন করে আপনি ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবার থেকে শুরু করে সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ বক্সে পর্যন্ত সবস্থানে বাংলা লিখতে পারবেন। অর্থাৎ, অভ্র ব্যবহার করলে আপনাকে অন্যান্য সফটওয়্যারের মত কপি-পেস্ট করতে হবেনা। সুতরাং আপনার টাইপীং হবে স্বাচ্ছন্দ্যময়, কাজ হবে দ্রুত।

বিজয় ও ইউনিবিজয়ের মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্যসমূহ

হাতেগোণা কিছু পার্থক্য ইউনিবিজয় ও বিজয়ের লে-আউটের মধ্যে রয়ে গেছে। সেগুলো নিম্নরূপঃ

  • Q প্রেস করে বিজয়ে ঙ আসে। কিন্তু অভ্র তে শিফট চেপে ধরে কিউ চাপলে ঙ আসে। একই ভাবে ং আনতে হলে বিজয়ে শিফট চেপে ধরে রেখে কিউ চাপতে হত যা অভ্রতে সরাসরিই আসবে। শিফট চাপতে হবে না।
  • চন্দ্রবিন্দু আসবে শিফট চেপে ধরে ২ প্রেস করলে।
  • ৎ আসবে শিফট চেপে ধরে রেখে ৭ চাপলে আর ঃ আসবে শিফট চেপে ধরে রেখে ৬ চাপলে।

মোটামুটি এর বাইরে আর কোন পার্থক্য ইউনিবিজয় আর বিজয়ের মধ্যে বিদ্যমান নেই।

পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য অভ্র পূর্ণ সংস্করণটি আজই বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিতে পারেন www.omicronlab.com থেকে।


বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রের ওয়েবসাইট সমূহ :

বাংলা সংবাদপত্র সমূহ :












ইংরেজী সংবাদপত্র সমূহ :



বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০০৯

উল্কা


উল্কা সাধারনত ‘ছুটন্ত নক্ষত্র’ হিসেবে পরিচিত। এটি আরোর একটি ঝলকানি। মহাকাশ থেকে কোন শিলাখন্ডের পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশের ফলে এর সস্টি হয়। এই শিলাখন্ডগুলো ঘন্টায় ১০-৩০ কি.মি. বেগে ছুটে চলে। যখন এরা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে তখন তীব্র ঘর্ষনের সৃষ্টি হয়। যা ধুলিকনাগুলোকে হাজার ডিগ্রী তাপমাত্রা পর্যন্ত উত্তপ্ত করে তোলে। এর ফলে আলোর ঝলকানি তৈরি হয়। মহাকাশ থেকে যে কোন তীব্র বেগে আসা বস্তুই এরকম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং আগুন ধরে যায়।


উল্কাসমুহ প্রচন্ড তাপ এবং ঘর্ষনের ফলে সৃস্ট ষ্ফুলিঙ্গে পৃথিবিতে আসার পূর্বেই বাস্পীভুত হয়ে যায়। অপেক্ষাকৃত বড়




আকারের উল্কাপিন্ড কে বলা হয় FIREBALL এবং কিছু বিশাল আকারের উল্কা পৃথিবীতে এসে পড়ে এবং বিশাল গর্তের সৃষ্টি করে। বিজ্ঞানীরা বলেন যে, প্রতিবছর আনুমানিক তিন লক্ষ উল্কাপিন্ড ভূ পৃষ্টে পতিত হয়। এদের বেশিরভাগই পতিত হয় বনজঙ্গল, নদী-নালা, সমুদ্র কিংবা পাহাড়ী অঞ্চলে। এমনকি শহর কিংবা জনবসতির আশেপাশেও পড়ে। কিন্তু এদের বেশিরভাগই অনাবিস্কৃত থেকে যায়। কারন এগুলো দেখতে পৃথিবীর সাধারন শিলাখন্ডের মতই।
International Astronomical Union কর্তৃক সম্প্রতি উল্কাপিন্ডের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে এভাবে, “মহাকাশে পরিভ্রমনকারী কিছু কঠিন পদার্থ, যা আকারে ধুমকেতুর চেয়ে ছোট কিন্তু অনুর চেয়ে বড়”। Royal Astronomical Society উল্কাপিন্ডের সংজ্ঞা দিয়েছে এভাবে, “কঠিন পদার্থের আকার ১০০ মাইক্রোমিটার হতে ১০ মিটার হতে হবে”।
পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশের পূর্বে এসব শিলাখন্ড আপন কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিনরত থাকে। পৃথিবীর আকাশে নির্দিষ্ট সময় পর পর উল্কাবৃষ্টি দেখা যায়।আকাশের যে স্থানে এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যায় সেখানে অসংখ্য ধূলিকণা এবং শিলাখন্ড একই কক্ষপথে অবতরণ করতে থাকে। এসব উল্কাসমূহ পৃথিবীর কক্ষপথে সবসময় একই দিক থেকে অতিক্রম করে। কারন পৃথিবী ঠিক এক বছর সময়ের ব্যবধানে আপন কক্ষপত একবার ঘুরে আসে। ফলে সবসময় বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবীর আকাশে উল্কাবৃষ্টি দেখা যায়।







সবচেয়ে ষ্পষ্ট উল্কাবৃষ্টি প্রতিবছর আগষ্টের ১২ এবং ডিসেম্বরের ১৩ তারিখে দেখা যায়। এদের যথাক্রমে পারসেইড উল্কাবৃষ্টি এবং জেমিনেড উল্কাবৃষ্টি বলা হয়। কারন এদের রেডিয়ান্ট পয়েন্ট আকাশে তারকারাজির পারসিয়াস এবং জেমিনি অঞ্চলে দেখা যায়।

কিছু বাৎসরিক উল্কাবৃষ্টির তালিকা


কোয়াড্রেনটাইট জানুয়ারী,৩ ৬০ টি/ঘন্টা
লিরাইড এপ্রিল,২২ ১০ টি/ঘন্টা
পারসেইড আগষ্ট,১২ ৭৫ টি/ঘন্টা
লিওনিড নভেম্বর,১৭ ১০ টি/ঘন্টা
জেমিনিড ডিসেম্বর,১৩ ৭৫ টি/ঘন্টা


বায়োস সেটআপ, অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টলেশন হার্ডডিস্ক পার্টিশন

কমপিউটার কেনা এবং যন্ত্রাংশ সংযোজনের পরের কাজ হচ্ছে কমপিউটারকে তার যন্ত্রাংশের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং তাকে কাজ করার জন্য উপযুক্ত করে তোলা। কমপিউটারকে তার যন্ত্রাংশের সাথে পরিচিত করে দেয়ার মাধ্যম হচ্ছে বায়োস সেটআপ। বায়োস সেটআপের পরবর্তী ধাপ হচ্ছে কমপিউটারের হার্ডডিস্কের পার্টিশন তৈরি করা এবং অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা। অপারেটিং সিস্টেম অনেক ধরনের হয়ে থাকে। যেমন-মেকিনটোশ কমপিউটার বা অ্যাপল কমপিউটারে ব্যবহার করা হয় ম্যাক ওএস (মেকিনটোশ অপারেটিং সিস্টেম)। আমরা সাধারণত যেসব পিসি (পার্সোনাল কমপিউটার) ব্যবহার করি তার অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয় মাইক্রোসফট কোম্পানির উইন্ডোজ। অথবা লিনআক্স নামের মুক্ত বা ওপেনসোর্স অপারেটিং সিস্টেম। নতুন কমপিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য উইন্ডোজই বেশি সুবিধাজনক। তবে ইচ্ছে করলে নতুন ব্যবহারকারীরা লিনআক্স অপারেটিং সিস্টেমের ডিস্ট্রিবিউশন উবুন্টু ব্যবহার করতে পারেন। কেননা, এর ব্যবহার অনেকটা উইন্ডোজের মতোই। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যেও রয়েছে অনেক ভাগ। উইন্ডোজ ৯৫, ৯৮, ২০০০, মিলেনিয়াম (এমই), এক্সপি, ভিসতা, সেভেন ইত্যাদি। এখন উইন্ডোজ এক্সপির ব্যবহার বেশ লক্ষণীয়। আগের উইন্ডোজগুলোর ব্যবহার তেমন একটা দেখা যায় না। গেমার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ভিসতা। উইন্ডোজ সেভেনের সম্পূর্ণ ভার্সন শিগগিরই বাজারে আসবে। এক্সপির জনপ্রিয়তা বেশি। তাই এ অপারেটিং সিস্টেমকে প্রাধান্য দিয়ে এ সংখ্যায় উইন্ডোজ এক্সপির ইনস্টলেশন পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। বায়োস সেটআপ, হার্ডডিস্ক পার্টিশন, উইন্ডোজ ইনস্টলেশনের পাশাপাশি কমপিউটারের যন্ত্রাংশগুলোর ড্রাইভার ইনস্টল করার পদ্ধতিও নিচে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হয়েছে।

বায়োস সেটআপ

 

কমপিউটার চালানোর জন্য দুই ধরনের প্রোগ্রাম দরকার-একটি অপারেটিং সিস্টেম ও অপরটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। এছাড়াও বায়োস নামের আরেক ধরনের প্রোগ্রাম আছে, যা পিসি চালু হতে সহায়তা করে। বায়োস বলতে Basic Input Output System বোঝায়। এটি সাধারণত এক ধরনের ROM (Read Only Memory) মেমরি। এই বায়োসে বুট অর্ডার সংরক্ষিত থাকে। বুট অর্ডার হচ্ছে একধরনের সেটিং বা ক্ষুদ্র প্রোগ্রাম, যা কমপিউটারের বায়োসের মধ্যে বিদ্যমান থাকে এবং কমপিউটারে পাওয়ার সংযোগ করার সাথে সাথেই এটি সক্রিয় হয়। বায়োস তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- American Megatrends Incorporated (AMI), Insyde Software, Phoenix Technologies Ltd. ইত্যাদি। মাদারবোর্ডের সাথে বায়োস বিল্ট-ইন অবস্থায় দেয়া থাকে। বিভিন্ন কোম্পানির মাদারবোর্ডে বায়োসের ভিন্নতা দেখা যায়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ব্যাপকভাবে ব্যবহার হওয়া বায়োস হচ্ছে AMIBIOS ও AwardBIOS, এগুলোর ইন্টারফেস খুবই সহজ ও সহজেই বোধগম্য। পুরনো অর্থাৎ পেন্টিয়াম ৩ ও তার নিচের পিসির মাদারবোর্ডে AwardBIOS ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে বেশিরভাগ মাদারবোর্ডে AMIBIOS ব্যবহার করা হয়। বায়োসে পিসির সব ডিভাইসের তথ্য সংরক্ষিত থাকে, যেমন পিসির, প্রসেসরের মডেল ও স্পিড, হার্ডডিস্কের স্টোরেজ স্পেস, র্যা মের পরিমাণ, অপটিক্যাল ড্রাইভ, ফ্লপি ড্রাইভ ইত্যাদি। আগের বায়োসগুলোতে আপনার পিসিতে কী কী ডিভাইস সংযুক্ত আছে তার তালিকা ম্যানুয়ালি বায়োসে লিখে দিতে হতো, কিন্তু বর্তমানে নতুন বায়োস স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিভাইসগুলোর তালিকা তৈরি করে নেয়। উদাহরণস্বরূপ AMIBIOS-এ লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন এর মূল স্ক্রিনে সিস্টেম ওভারভিউয়ের আন্ডারে সিস্টেম টাইম, সিস্টেম ডেট, বায়োস ভার্সন, প্রসেসর, প্রসেসর স্পিড, ক্যাশ সাইজ ও মোট মেমরি দেখাচ্ছে। এভাবে স্ক্রিনের উপরের দিকে বিদ্যমান সবগুলো ট্যাবেই আলাদা বিষয় দেখাবে, যার অনেক কিছুই আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন, কিন্তু যেহেতু বর্তমানের বায়োসগুলো সব সেটআপ নিজে থেকেই করে নেয়, তাই সব অপশন অটো রাখাই ভালো। AMIBIOS-এর সাথে AwardBIOS-এর মূল পার্থক্য হচ্ছে এদের আউটলুকে। AMIBIOS হচ্ছে ট্যাবভিত্তিক ও AwardBIOS হচ্ছে লিস্টভিত্তিক আউটলুকে বিভক্ত। AwardBIOS-এর সব ফিচার মূল স্ক্রিনের বাম দিকে দেখা যায়। কোনো অপশনে যেতে চাইলে কীবোর্ডের অ্যারো চিহ্ন ব্যবহার করে সিলেক্ট করে এন্টার চেপে ভেতরের অপশনগুলো দেখা যাবে এবং মূল স্ক্রিনে ফিরে আসার জন্য Esc কী চাপতে হবে।

উইন্ডোজ ইনস্টলের পূর্বপ্রস্তুতি

 

বুটেবল সিডি থেকে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার জন্য বায়োস থেকে সিডি ড্রাইভকে প্রথমে বুট ডিভাইস বানিয়ে নিতে হয়। বুটেবল সিডি বলতে বোঝানো হয় এমন সিডি, যা থেকে কমপিউটার সরাসরি বুট করতে পারে। এ বুটেবল সিডির মাধ্যমে কমপিউটারকে কিছু নির্দেশ দেয়া যায়। অপারেটিং সিস্টেমের ডিস্কগুলো বুটেবল হয়ে থাকে। বর্তমানে বেশিরভাগ মাদারবোর্ডের ডিফল্ট সেটিংয়ে সিডি ড্রাইভকেই প্রথম বুট ডিভাইস হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু আপনার মাদারবোর্ডে সেটি নাও করা থাকতে পারে, তাহলে আসুন দেখা যাক AMIBIOS–এ কাজটি কিভাবে করা হয়।
সাধারণত পিসি চালু হওয়ার সময় মাদারবোর্ড ভেদে কীবোর্ডের Delete, F2, F8 কী চেপে বায়োসে প্রবেশ করতে হয়। AMI বায়োসের ক্ষেত্রে পিসি বুট করার সময় Delete কী চেপে বায়োসে প্রবেশ করতে হবে। বায়োসের মূল স্ক্রিনে কোন কী চাপলে কী হবে তার নির্দেশিকা দেয়া আছে। সেটি দেখে স্ক্রিনের Boot ট্যাবে গিয়ে (চিত্র : ৩) Boot Device Priarity অপশনের নিচে First Boot Device হিসেবে সিডি রম সিলেক্ট করুন ও Second Boot Device হিসেবে হার্ডডিস্ক সিলেক্ট করে F10 চেপে সেভ করে বের হয়ে আসুন।
AwardBIOS-এর ক্ষেত্রেও পিসি চালু হওয়ার সময় Delete কী চেপে বায়োসে প্রবেশ করুন। সেখান থেকে Advanced BIOS Features সিলেক্ট করে এন্টার চাপুন। আরেকটি স্ক্রিন আসবে, সেখানে থেকে First Boot Device হিসেবে সিডি রম ও Second Boot Device হিসেবে হার্ডডিস্ক ও Third Boot Device হিসেবে ফ্লপি বা ইউএসবি ডিভাইস সিলেক্ট করে F10 চেপে সেভ করে বের হয়ে আসুন।
বায়োস সেটআপের পরে বুটেবল সিডি ব্যবহার করে নতুন হার্ডডিস্কে উইন্ডোজ এক্সপি ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

উইন্ডোজ এক্সপি ইনস্টলেশন

 

সাধারণত উইন্ডোজের বিভিন্ন ভার্সন ভিন্ন ভিন্ন ফাইল সিস্টেম সাপোর্ট করে, যার ফলে হার্ডডিস্কের ডাটা অ্যালোকেশন টাইপও সেই অনুযায়ী সাজিয়ে নিতে হয় বা ফরমেট করতে হয়। ডস ও উইন্ডোজ ৯৫-এর প্রথম ভার্সন FAT (File Allocation Table) ফরমেটের ফাইল সিস্টেম সাপোর্ট করতো, কিন্তু উইন্ডোজ ৯৮ ও মিলেনিয়াম সাপোর্ট করতো FAT32 ফরমেটের ফাইল সিস্টেম। তারপর এলো NTFS (New Technology File System) ফরমেটের ফাইল সিস্টেম, যা উইন্ডোজ এনটি, এক্সপি, ভিসতা ও উইন্ডোজ সেভেন সমর্থিত। উইন্ডোজ ৯৮ ও মিলেনিয়াম NTFS ফরমেট সাপোর্ট করে না, কিন্তু উইন্ডোজ এনটি ও এক্সপি FAT32 ফরমেট সাপোর্ট করে। ফাঁকা বা পার্টিশন না করা হার্ডডিস্কে নতুন করে উইন্ডোজ ইনস্টল করার বিভিন্ন প্রক্রিয়া আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো বুটেবল এক্সপির সিডি ব্যবহার করে হার্ডডিস্কে তা ইনস্টল করা। উইন্ডোজ এক্সপি হচ্ছে এক্সপেরিয়েন্সের সংক্ষিপ্ত রূপ। উইন্ডোজ এক্সপি বানানো হয়েছিলো উইন্ডোজ এনটি (নিউ টেকনোলজি) কারনেলের ওপরে ভিত্তি করে। এটি এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফটের সবচেয়ে সফল অপারেটিং সিস্টেম। ২০০১ সালের ২৪ আগস্ট মাইক্রোসফট সবার সাথে এক্সপির পরিচয় করিয়ে দেন। এই উইন্ডোজটির তিনটি সার্ভিস প্যাক বের হয়েছে। সার্ভিস প্যাক হচ্ছে মূল উইন্ডোজের কিছু সমস্যা দূর করে তা হালনাগাদ করে উইন্ডোজের সাথে জুড়ে দেয়া অংশ। বাজারে উইন্ডোজ এক্সপির নানারকম ভার্সন দেখতে পাবেন, যেমন-উইন্ডোজ এক্সপি ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮, ২০০৯ বা আরো অন্য কিছু। এতে ধোঁকা খেয়ে যেতে পারেন। যত পরের উইন্ডোজ তা তত ভালো মনে করাটা বোকামি। উইন্ডোজের সিডি বা ডিভিডি কেনার আগে দেখে নিন সেটি কোন সার্ভিস প্যাকের। উইন্ডোজ সার্ভিস প্যাক ৩ হচ্ছে সবচেয়ে নতুন সংস্করণ, তাই তা কেনার চেষ্টা করুন। উইন্ডোজের ডিস্ক সবসময়ে বুটেবল করাই থাকে, তাই আপনার কেনা উইন্ডোজের ডিস্কটি বুটেবল কিনা তা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। উইন্ডোজের ডিস্ক কেনার সময় আরেকটি লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে তা কোন এডিশনের। হোম এডিশন, প্রফেশনাল এডিশন, মিডিয়া সেন্টার এডিশন ইত্যাদি রকমের ডিস্ক বাজারে পাওয়া যায়। তবে সহজলভ্য হচ্ছে প্রফেশনাল এডিশন। মিডিয়া সেন্টার এডিশন নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য ভালো হবে না এবং তার জন্য মিডিয়া সেন্টার সাপোর্টেড টিভি কাম মনিটরের প্রয়োজন হবে। হোম ইউজারদের জন্য হোম এডিশন বেশি ভালো হবে, তাই হাতের কাছে তা খুঁজে পেলে তাই কিনে নিন, আর তা না পেলে প্রফেশনাল এডিশনের ওপরে ভরসা করা ছাড়া কোনো গতি নেই।

ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া

 

ফাঁকা হার্ডডিস্কে উইন্ডোজ ইনস্টল করার জন্য এর ফাইল সিস্টেমকে পরিবর্তন করতে হবে। তবে প্রথমেই এ কাজটি করতে হবে না। প্রথমে উইন্ডোজ এক্সপি প্রফেশনাল সার্ভিস প্যাক থ্রির একটি সিডি ড্রাইভে ঢুকিয়ে কমপিউটার রিস্টার্ট দিলে নিচের ধাপ অনুযায়ী ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া চলতে থাকবে এবং মাঝে মাঝে আপনাকে শুধু কিছু কমান্ড ও তথ্য দিতে হবে। পাঠকের সুবিধার্থে এক্সপি ইনস্টলের পুরো প্রক্রিয়াকে নিম্নলিখিত চারটি ভাগে করা হয়েছে :

০১. ডাটা কালেকটিং

 

এটি আবার কয়েক ধাপে ভাগ করা যায়। নিচে পর্যায়ক্রমে তা আলোচনা করা হয়েছে :

ধাপ-১ :

 

এক্সপির বুটেবল সিডি ড্রাইভে ঢুকিয়ে পিসি রিস্টার্ট করলে পিসি চালু হওয়ার পর Press any key to boot from CD মেসেজ আসলে কী-বোর্ডের যেকোনো কী চেপে সিডি থেকে বুট করুন।

ধাপ-২ :

 

এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং Windows Setup নামের একটি নীল স্ক্রিন আসবে। এখানে কীবোর্ডের F6 কী চেপে থার্ড পার্টি ডিস্ক ড্রাইভার যেমন SCSI এডাপ্টার বা মাস স্টোরেজ ডিভাইস ইনস্টল করতে পারেন। এছাড়া এ ধাপে F2 চেপে ASR সিকোয়েন্স চালু করতে পারেন, যা দিয়ে হার্ডড্রাইভের ব্যাকআপ রাখতে পারবেন। যেহেতু আমরা ফাঁকা হার্ডডিস্কে প্রথমবারের মতো এক্সপি সেটআপ করছি, সেহেতু এ ধাপে আপনাকে কোনো কী চাপতে হবে না। এক্সপি নিজে নিজেই তার প্রয়োজনীয় ফাইল লোড করে পরের ধাপে চলে যাবে।

ধাপ-৩ :

 

এ ধাপে Welcome to Setup নামের স্ক্রিন আসবে, যেখানে তিনটি অপশন থাকবে।
এগুলো হলো :
* To Setup Windows XP now, Press Enter
* To repair a Windows XP installation using Recovery Console, press R
* To quit Setup without installing Windows XP, press F3
তিনটি অপশন থেকে প্রথমটি অর্থাৎ এক্সপি সেটআপ করার জন্য এন্টার কী চাপুন। বাকি অপশনগুলো সিলেক্ট করলে কী হবে তা লেখা দেখেই আপনারা অনুমান করে নিতে পারবেন।

ধাপ-৪ :

 

এ ধাপে আসা স্ক্রিনটির নাম হচ্ছে Windows XP Licensing Agreement, এখানে এক্সপি ব্যবহারের শর্তগুলো লিপিবদ্ধ করা আছে। এসব নিয়ম মেনে এক্সপি ব্যবহারে সম্মত হলে F8 চাপুন।

ধাপ-৫ :

 

F8 চাপলে Windows XP Professional Setup স্ক্রিন আসবে এবং ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া পিসির হার্ডডিস্ক স্পেস শনাক্ত করবে, এর সাথে সেখানে আবার তিনটি অপশন থাকবে।
এগুলো হলো :
* To set up Windows XP on the selected item, press ENTER
* To create a partition in the unpartitioned space, press C
* To delete the selected partition, press D
এখনই হার্ডডিস্কে উইন্ডোজের জন্য আলাদা পার্টিশন করতে চাইলে C চাপুন। পার্টিশন করার ব্যাপারটি অনেকটা বিশাল-একটি কক্ষকে দেয়াল দিয়ে আলাদা করে কয়েকটি কক্ষে ভাগ করার মতো। কোনো প্লটে যখন দেয়াল দিয়ে এক কক্ষকে কয়েক কক্ষে ভাগ করা হয়, তখন দেয়াল কিছুটা জায়গা নষ্ট করে। ঠিক তেমনিভাবে পার্টিশন করার ফলে হার্ডডিস্কের কিছু জায়গা দখল হবে, যা ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই যথাসম্ভব প্রয়োজন বুঝে কমসংখ্যক ড্রাইভ বানানোর চেষ্টা করুন।

ধাপ-৬ :

 

এ ধাপে উইন্ডোজ ড্রাইভের জন্য জায়গার পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। স্ক্রিনে হার্ডডিস্ক পার্টিশন করার সর্বনিম্ন মান ও সর্বোচ্চ মান মেগাবাইটে দেখাবে। এখন আপনি উইন্ডোজ ড্রাইভটি কতো বড় রাখতে চান তার উপর নির্ভর করে একটি মান বসিয়ে দিন। সাধারণত উইন্ডোজ এক্সপির জন্য ৭-১০ গিগাবাইট জায়গা যথেষ্ট (এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ১০ গিগাবাইট=১০২৪০ মেগাবাইট)। সাইজ লেখার পর এন্টার চাপলেই পার্টিশন তৈরি হয়ে যাবে এবং হার্ডডিস্কের বাকি অংশ আনপার্টিশন বা আনঅ্যালোকেটেড অবস্থায় থাকবে। পার্টিশন করা অংশটুকু C: ড্রাইভ আকারে দেখানো হবে।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ড্রাইভের নামের প্রথম অক্ষর A হলো না কেন? হার্ডড্রাইভের নামের প্রথম নাম সি দিয়ে শুরু করা হয়। কারণ, এ এবং বি এই অক্ষর দুইটি ফ্লপি ড্রাইভের জন্য বরাদ্দ থাকে। কারণ, আগে প্রথম বুট ডিভাইস হিসেবে ফ্লপি ড্রাইভ ব্যবহার করা হতো।

ধাপ-৭ :

 

এ ধাপে চিত্র-৫-এর মতো একটি স্ক্রিন আসবে, যাতে আনপার্টিশন করা জায়গায় পার্টিশন করতে পারবেন ও বানানো পার্টিশন ডিলিট করতে পারবেন। কিন্তু আনপার্টিশন করা অংশটুকুতে পরে পার্টিশন করা হবে, তাই আগে উইন্ডোজের জন্য তৈরি করা পার্টিশনে অর্থাৎ C: নামের পার্টিশনটি সিলেক্ট করে এন্টার চাপতে হবে।

ধাপ-৮ :

 

এই ধাপে পার্টিশন করা অংশের ফাইল সিস্টেম কী ধরনের হবে, তা ঠিক করে দিতে হবে। স্ক্রিনে বেশ কয়েকটি ফরমেটের অপশন আসবে।
এগুলো হলো :
* Format the partition using NTFS file system (Quick)
* Format the partition using FAT system (Quick)
* Format the partition using NTFS file system
* Format the partition using FAT system
আমরা এক্সপি ইনস্টল করছি তাই পার্টিশনের ফাইল সিস্টেম NTFS হলে ভালো হয়, এজন্য এখান থেকে Format the partition using NTFS file system অপশনটি সিলেক্ট করে এন্টার চাপলে C: ড্রাইভ ফরমেট হতে থাকবে। বরাদ্দ করা জায়গা অনুসারে ফরমেট হতে কমবেশি সময় লাগতে পারে।
যারা পার্টিশন করা হার্ডডিস্কে উইন্ডোজ ইনস্টল করতে যাবেন, তাদের ক্ষেত্রে ধাপ-৪-এর পর একটু অন্য ধরনের স্ক্রিন আসবে এবং সেক্ষেত্রে সেটআপ হার্ডডিস্কে আগে ইনস্টল করা উইন্ডোজ খুঁজে দেখবে এবং কোনো উইন্ডোজ খুঁজে পেলে তা প্রদর্শন করে ব্যবহারকারীকে নিচের অপশনগুলো দেবে :
* To repair the selected Windows XP installation, press R
* To continue installing a fresh copy of Windows XP without repairing, press ESC
এক্ষেত্রে পুরনো উইন্ডোজটি রিপেয়ার করতে চাইলে R চেপে পরবর্তী ধাপে চলে যান ও স্ক্রিনে আসা লেখা দেখে কাজ করে যান। তবে ফ্রেশ কপি ইনস্টল করতে ও রিপেয়ার করতে প্রায় একই সময় লাগে, তাই ESC চেপে ফ্রেশ কপি ইনস্টল করুন।
পরে আরেকটি স্ক্রিন আসবে সেখানে লেখা থাকবে :
* To setup Windows XP on the selected item, press ENTER
* To create a pertition in the unpartitioned space space, press C
* To delete the selected partition, press D
এক্ষেত্রে যে ড্রাইভটি সিলেক্ট করা আছে (অর্থাৎ C: ড্রাইভ) সে অবস্থাতেই এন্টার চাপুন, তারপরের ধাপে পার্টিশনটির ফাইল সিস্টেম কী ধরনের হবে, তা ঠিক করে দিতে হবে। স্ক্রিনে আগের মতোই কয়েকটি ফরমেটের অপশন আসবে, তবে দুটো অপশন বেশি আসবে।
এগুলো হলো :
* Format the partition using NTFS file system (Quick)
* Format the partition using FAT system (Quick)
* Format the partition using NTFS file system
* Format the partition using FAT system
* Convert the partition to NTFS
* Leave the file system intact (no change)
এখন আগের মতোই Format the partition using NTFS file system সিলেক্ট করে এন্টার চাপুন।

০২. ইনস্টলেশন প্রস্ত্ততি

 

ফরমেট করা হয়ে গেলে এক্সপি নিজে নিজেই প্রয়োজনীয় সব ফাইল সিডি থেকে হার্ডডিস্কে কপি করে নেবে। এটিকে এক্সপি ইনস্টলেশনের পুরো প্রক্রিয়ার দিবতীয় অংশ বলা যেতে পারে। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া। এসময় আপনাকে কিছুই করতে হবে না। কপি করা শেষ হয়ে গেলে, পিসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিস্টার্ট হবে। এখন পিসি পুনরায় চালু হওয়ার আগে সিডি ড্রাইভ থেকে এক্সপি বুটেবল সিডিটি বের করে নিতে পারেন। আর যদি বের না করেন, তাহলে পিসি আবার সিডি থেকে বুট করতে যাবে এবং আবার Press any key to boot from CD লেখা দেখাবে। এসময় ভুলেও কোনো কী চাপবেন না। অন্যথায় ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া আবার প্রথম থেকে শুরু হবে এবং এতক্ষণ যেটুকু কাজ সম্পন্ন হয়েছে তা ভেস্তে যাবে।

০৩. উইন্ডোজ ইনস্টল করা

 

কমপিউটার রিস্টার্ট হয়ে এক্সপির লোগো দেখিয়ে চিত্র-৬-এর মতো একটি স্ক্রিন আসবে ও এটি আপনাআপনি সেটআপ করতে থাকবে। পিসিভেদে ২৫-৩০ মিনিট লাগতে পারে। এসময় আপনাকে কিছু করতে হবে না। তবে এরপর কিছু ডায়ালগ বক্স আসবে যাতে কিছু তথ্য দিতে হবে। সেই ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে নিচে দেয়া হলো :

ধাপ-১ :

 

নিজ থেকে যখন সেটআপ ইনফরমেশন কালেকশন, ডায়নামিক আপডেটের কাজ শেষ করে ইনস্টলের জন্য প্রস্তুত হবে, তখন ‘Regional and Language Options’ নামের একটি উইন্ডো আসবে। এখান থেকে উইন্ডোজের ভাষা পরিবর্তন করা যাবে, কিন্তু ডিফল্ট সেটিং (ইংরেজি ভাষা)-এর কোনো পরিবর্তন করতে না চাইলে Next বাটন চেপে পরবর্তী উইন্ডো ‘Personalize Your Software’-এ চলে যান এবং সেখানে Name বক্সে ব্যবহারকারীর নাম ও Organization বক্সে অর্গানাইজেশনের নাম বা হোম ইউজার লিখে Next চাপুন।

ধাপ-২ :

 

এর কিছুক্ষণ পর সেটআপ ‘Your Product Key’ নামের একটি ডায়ালগ বক্স প্রদর্শন করবে, সেখানে আপনাকে ৫ ভাগে বিভক্ত ২৫ ক্যারেক্টারের এক্সপি সিরিয়াল নাম্বার টাইপ করে দিতে হবে। সিরিয়াল নাম্বার সিডির ব্যাক কভারে পাবেন এবং সেটি সঠিকভাবে টাইপ করে Next বাটন চাপুন।

ধাপ-৩ :

 

যদি আপনার দেয়া সিরিয়াল নাম্বার ঠিক থাকে, তাহলে পরে ‘Computer Name and Administrator Password’ নামের আরেকটি উইন্ডো আসবে সেখানে কমপিউটারের জন্য একটি নাম দিতে হবে। আর যদি উইন্ডোজে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হয়ে লগ-ইন করার ব্যাপারটি পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রোটেক্টেড করতে চান, তাহলে ন্যূনতম ৬ ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ড Administrator Password বক্সে দিন এবং Confirm Password বক্সে সেই পাসওয়ার্ড আবার টাইপ করে Next বাটন চাপুন। ইচ্ছে করলে কোনো ইউজার নেম বা পাসওয়ার্ড দেয়া ছাড়াই Next চেপে পরবর্তী অংশে চলে যেতে পারেন।

ধাপ-৪ :

 

এ ধাপে আপনাকে তারিখ ও সময় নির্ধারণ করতে হবে। এই উইন্ডোটির নাম ‘Date and Time Settings’। এখানে টাইম জোন বক্সের ড্রপডাউন মেনু থেকে (GMT+06:00) Astana, Dhaka অপশনটি সিলেক্ট করে দিলে বাংলাদেশের সময় ও তারিখ আপনাআপনি সঠিকভাবে সেট হবে। মেনুয়্যালি ডেট ও টাইম সেটআপ করার দরকার পড়বে না। তারপর Next বাটন চেপে পরবর্তী ধাপে চলে যান।

ধাপ-৫ :

 

এ ধাপটি আসতে একটু সময় নেবে এবং এ ধাপের নাম ‘Networking Settings’। এ উইন্ডোতে নেটওয়ার্ক সেটআপ করার জন্য দুটি অপশন পাবেন। একটি Typicali Settings এবং অপরটি Custom Settings। যারা এডভান্স ইউজার, তারা কাস্টম সেটিং ব্যবহার করে পিসিকে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করে নিতে পারবেন, কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীরা এখানে টিপিক্যাল সেটিং সিলেক্ট করে Next বাটন চাপুন।

ধাপ-৬ :

 

এ ধাপটির নাম হচ্ছে ‘Workgroup or Computer Domain’। এখানে ডিফল্ট সেটিংয়ে যা দেয়া আছে (অর্থাৎ No, this computer is not on a network, or is on a network without a domain. Make this computer a member of the following workgroup-এ অপশনটি সিলেক্ট করা থাকবে) সেটি সেভাবে রেখেই Next বাটন চাপুন। তারপর আর কোনো উইন্ডো আসবে না সেটআপ প্রসেস আপনা থেকেই চলতে থাকবে এবং ইনস্টলেশন সম্পন্ন হওয়ার পর নিজে নিজেই রিস্টার্ট হবে।

০৪. ফাইনাল ইনস্টলেশন

 

রিস্টার্ট হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এক্সপি চালু হবে এবং একটি পপআপ মেনু আসবে সেখানে লেখা থাকবে ‘To improve the appearance of visual elements, Windows will automatically adjust your screen resolution’। পপআপ মেনুটিকে সম্মতি প্রদান করার জন্য Ok চাপুন। এখন যদিও উইন্ডোজ ইনস্টল করা শেষ, তবুও কিছু কনফিগারেশন ও পিসির সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আরো কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। নিচে সেই ধাপগুলো আলোচনা করা হলো :

ধাপ-১ :

 

এ ধাপের প্রথমে একটি ওয়েলকাম স্ক্রিন আসবে এবং এর নিচের দিকের Next বাটন চাপলে আরেকটি স্ক্রিন আসবে। এর নাম ‘Help protect your PC’, এখানে দুটি অপশন পাবেন, তার একটি হচ্ছে Help protect my PC by turning on Automatic Updates now এবং অপরটি হচ্ছে Not right now। যদি ইন্টারনেট কানেকশন দেয়ার ব্যবস্থা থাকে, তবে প্রথমটি সিলেক্ট করুন। আর না থাকলে দিবতীয়টি সিলেক্ট করে Next চাপুন।

ধাপ-২ :

 

এ ধাপে কমপিউটার কি সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হবে না নেটওয়ার্ক দিয়ে যুক্ত হবে তা জানতে চাইবে। এ ধাপটি ইচ্ছে করলে স্কিপ করতে পারে, কারণ এখন আমাদের ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই।

ধাপ-৩ :

 

এর পরবর্তী ধাপে উইন্ডোজ রেজিস্ট্রি করতে বলা হবে, এক্ষেত্রে No সিলেক্ট করে Next বাটন চাপুন।

ধাপ-৪ :

 

এর পরের ধাপে কমপিউটার এক বা একাধিক ব্যবহারকারী থাকলে ভিন্ন ভিন্ন ইউজার অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে, আর যদি ইউজার একজন হয় সেক্ষেত্রে প্রথম ঘরে সেই ইউজারের নাম দিয়ে Next চাপুন। তাহলেই আপাতত উইন্ডোজের কনফিগারেশনের সব কাজ শেষ। তারপর একটি থ্যাংক ইউ স্ক্রিন আসার পরই এক্সপির ডেস্কটপে প্রবেশ করতে পারবেন।

ড্রাইভার ইনস্টলেশন

 

উইন্ডোজ ইনস্টলেশনের পর প্রথম কাজ হবে প্রসেসর, মাদারবোর্ড, মনিটর, সাউন্ড কার্ড, গ্রাফিক্স কার্ডের সাথে দেয়া সিডি থেকে উইন্ডোজে সেই ডিভাইসটির জন্য ড্রাইভার ইনস্টল করা। প্রথমে মনিটরের সাথে দেয়া ডিস্কটি অপটিক্যাল ড্রাইভে প্রবেশ করান এবং মনিটরের জন্য প্রদত্ত ড্রাইভারটি অটোপ্লে করবে, তখন তা উইন্ডোজে ইনস্টল করুন, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মনিটরের ড্রাইভার ইনস্টল করার দরকার পড়ে না, কারণ উইন্ডোজ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই মনিটরের ড্রাইভার ইনস্টল করে নেয়। এরপরে মাদারবোর্ডের সাথে দেয়া সিডি প্রবেশ করান। সেটিও অটোপ্লে করবে এবং মেনু থেকে মাদারবোর্ডের জন্য ড্রাইভার ইনস্টল করতে হবে। যদি আপনার সাউন্ড কার্ড, গ্রাফিক্স কার্ড ও ল্যান কার্ড বিল্ট-ইন হয়ে থাকে, তাহলে মাদারবোর্ডের সিডিতেই সবগুলোর জন্য আলাদা আলাদা ড্রাইভার দেয়া আছে, একে একে সবগুলো ইনস্টল করে নিতে হবে। উল্লেখ্য, প্রতিটি ডিভাইসের ড্রাইভার ইনস্টল করার পর পিসি রিস্টার্ট করতে হতে পারে। যদি আপনার সাউন্ড কার্ড, গ্রাফিক্স কার্ড, ল্যান কার্ড আলাদাভাবে সংযোজন করা থাকে, তাহলে সেগুলোর সাথেও ড্রাইভার ডিস্ক দেয়া থাকবে এবং সেগুলো থেকে সেই ডিভাইসের জন্য প্রয়োজনীয় ড্রাইভারটি ইনস্টল করে নিলেই চলবে। টিভি কার্ড, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম ইত্যাদি ডিভাইসের সাথেও যার যার ড্রাইভার ডিস্ক দেয়া থাকবে এবং একই প্রক্রিয়ায় তা ইনস্টল করে নিতে হবে।

হার্ডডিস্ক পার্টিশন

 

উইন্ডোজ এক্সপি ইনস্টলেশনের সময় ১০ গিগাবাইটের একটি পার্টিশন তৈরি করা হয়েছিল এবং হার্ডডিস্কের বাকি অংশ আনপার্টিশনড অবস্থায় ছিল। এখন সেই অংশকে কিভাবে আবার বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। ইচ্ছে করলে হার্ডডিস্ক পার্টিশনের কাজটি থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ব্যবহার করেও করা যায়, এর জন্য আপনি Partition Magic, Paragon Partition Manager, Easeus Partition Manager ইত্যাদি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্সপির নিজস্ব পার্টিশন ম্যানেজারের সাহায্যে পার্টিশনের কাজটি সম্পন্ন করতে চাইলে নিচের
ধাপগুলো অনুসরণ করুন :

ধাপ-১ :

 

প্রথমে স্টার্ট বারের Start বাটন চেপে Control Panel অপশনে যান।

ধাপ-২ :

 

আপনার কন্ট্রোল প্যানেল ক্ল্যাসিক মোডে থাকলে Administrative Tools আইকনে ক্লিক করে পরবর্তী উইন্ডো থেকে Computer Management আইকনে ক্লিক করুন। আর যদি কন্ট্রোল প্যানেল ক্যাটেগরি ভিউতে থাকে তাহলে Performance and Maintenance লেখায় ক্লিক করে Administrative Tools-এ যান এবং তারপর Computer Management আইকনে ক্লিক করুন।

ধাপ-৩ :

 

এ ধাপে কমপিউটার ম্যানেজমেন্ট উইন্ডো ওপেন হবে, সেখানে থেকে বামপাশের প্যানেল থকে Storage ক্যাটেগরির অন্তর্গত Disk Management লেখায় ক্লিক করলেই ডানপাশে হার্ডডিস্কের বর্তমান অবস্থা প্রদর্শিত হবে (চিত্র-৭)।

ধাপ-৪ :

 

এখন আনঅ্যালোকেটেড অংশটি ব্যবহার করে নতুন ড্রাইভ তৈরি করতে চাইলে সেটির উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করার ফলে আসা মেনু থেকে New Partition অপশনটি সিলেক্ট করুন।

ধাপ-৫ :

 

এ ধাপে কি ধরনের পার্টিশন তৈরি করতে চান (প্রাইমারি না লজিক্যাল) তার টিউটরিয়াল দেয়া আছে, ইচ্ছে করলে তা পরে দেখতে পারেন। সাধারণত উইন্ডোজ যে ড্রাইভে থাকে সেই ড্রাইভ অর্থাৎ C: ড্রাইভ প্রাইমারি হিসেবে থাকে এবং অন্য ড্রাইভগুলো লজিক্যাল রাখতে হয়। তাই Logical Partition সিলেক্ট করে নেক্সট চাপুন।

ধাপ-৬ :

 

এ ধাপে হার্ডডিস্কের আনঅ্যালোকেটেড জায়গার কতটুকু পরিমাণ জায়গা নতুন ড্রাইভ হিসেবে তৈরি করতে চান তার মান লিখতে হবে। যদি আনঅ্যালোকেটেড জায়গার পরিমাণ ৭০ গিগাবাইট হয় এবং আপনি তিনটি ড্রাইভ তৈরি করতে চান তবে ২০ গিগাবাইট জায়গা লিখে দিন (উল্লেখ্য, মানগুলো মেগাবাইটে লিখতে হবে, তাই ২০ গিগাবাইট= ২০৪৮০ মেগাবাইট)। তাহলে আরও ৫০ গিগাবাইট জায়গা বাকি থাকবে, যা দিয়ে পরে আবার ড্রাইভ বানাতে হবে। জায়গার পরিমাণ লেখা হয়ে গেলে নেক্সট চাপুন।

ধাপ-৭ :

 

এ স্ক্রিনে আপনার তৈরি করা ড্রাইভটির জন্য ড্রাইভ লেটার লিখে দিতে হবে, তবে লিখতে না চাইলে ডিফল্ট সেটিং অনুযায়ী ড্রাইভটির একটি ড্রাইভ লেটার সংযোজিত হয়ে যাবে। তারপর নেক্সট চেপে পরবর্তী ধাপে চলে যান।

ধাপ-৮ :

 

এ ধাপে আপনার তৈরি করা পার্টিশনটির ফাইল সিস্টেম কী হবে তা সিলেক্ট করে দিতে হবে, এক্ষেত্রে FAT32 বা NTFS ফাইল সিস্টেম যেকোনোটি সিলেক্ট করতে পারে। কারণ, এক্সপি দুটোই সমর্থন করে। তবে NTFS ফাইল সিস্টেম সিলেক্ট করাই ভালো। তারপর ড্রাইভের Volume Level অপশনে ড্রাইভটির জন্য একটি নাম দিয়ে দিন, আর যদি নাম না দেন, তাহলে ড্রাইভটি তৈরি হওয়ার পর Local Drive নাম প্রদর্শন করবে। এখন নেক্সট বাটন ক্লিক করলে একটি সামারি স্ক্রিন আসবে, সেখানে সব তথ্য পড়ে সম্মত হলে ফিনিশ বাটন চাপুন, তাহলেই পার্টিশন তৈরির কাজ শুরু হবে এবং পরে পিসি চালু করার পর সেই ড্রাইভটি মাই কমপিউটার খুললে দেখতে পাবেন। তবে মনে রাখবেন, হার্ডডিস্কের আরো কিছু জায়গা আনঅ্যালোকেটেড অবস্থায় রয়েছে। উপরোক্ত পদ্ধতি আবার অনুসরণ করে আরো ড্রাইভ বানিয়ে নিন। তারপর আলাদা আলাদা ড্রাইভে ভিন্ন ভিন্ন ফাইল রাখুন। যেমন এক ড্রাইভে সফটওয়্যার, এক ড্রাইভে গেমস ও এক ড্রাইভে গান ইত্যাদি।
উৎস এবং সত্ত্বাধিকারী : ridoy

ব্রাউজারের সেভ করা পাসওয়ার্ড বের করুন খুব সহজেই

আমরা যারা মজিলা ব্যবহার করি তাদের জন্য বলছি কারন আমি মজিলা ব্যবহার করে এই তথ্যটা পেয়েছি । আমরা অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখি যাতে পরবর্তিতে পাসওয়ার্ডটি বারবার দিতে না হয় । কিন্তু এই সুবিধিটি আপনার সাড়ে সর্বনাশ ঘটাতে পারে ।
dfg
যেমন আপনি কোন ওয়েবসাইটের একটি পাসওয়ার্ড ব্রাউজারে সেভ করুন । পরে Mozilla FireFoX এর Tools অপশনে যান । এবার page info নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন এরপর security অপশনে যান । ওখানে দেখবেন View saved password লেখা আছে ওটাতে ক্লিক করুন । আপনি দেখতে পাবেন আপনি যে ওয়েবসাইটে পাসওয়ার্ড সেভ করে রেখেছেন সেই ওয়েবসাইটটি । এখন show password ক্লিক করলেই আপনি পাসওয়ার্ডটি জেনে যাবেন ।
দয়া করে কারও অপকার করবেন না । আপনাদের সাবধান করার জন্যই আমার এই লেখা । কমেন্ট আশা করছি ……….


উৎস : লোটাস
Powered By Blogger